ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অতিদরিদ্রের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল বিতরণের ব্যাপক অনিয়নের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার উপজেলা সরিষা ইউনিয়নের নাপিতের বাজার এলাকার ডিলার আব্দুল হেলিমের দোকানে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৪৭৭ জনকে কার্ডদারীকে ৩০ কেজির স্থলে দেয়া হচ্ছে ২৬ থেকে ২৭ কেজি। ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতেই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
এসময় সরিষা ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের ২২৬নং কার্ডদারী আবু তালেব জানান, গত মাসেও তাকে চাল দেয়া হয়নি এ মাসে চালে ২৭কেজি দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৬১নং কার্ডদারী আব্দুল মোতালেব ২৬কেজি ও চাপিলাকান্দা গ্রামের ১৮৬নং কার্ডদারী হালিমা খাতুন ২৮ কেজি চাল পেয়েছেন বলে জানান। পরে চালের ওই তিনজনের ব্যাগ ডিলারের ডিজিটাল মিটারে ওজন করে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
ডিলার অসুস্থ্য থাকায় চাল বিতরণ করছে পুত্র শাহজানান, তিনি জানান, প্রতিজনকে ১কেজি করে কম দেয়া হয়েছে। এর কারণ জানতেচাইলে তিনি বলেন, ৫০ কেজির বস্তায়ই চাল কম থাকে তাই কম দেয়া হচ্ছে। এসময় ট্যাগ অফিসারের খোঁজ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। ট্যাগ অফিসার সম্পর্কে তিনি জানান, তাঁর অনুমতি নিয়েই চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
এবিষয়ে ট্যাগ অফিসার আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাঠকর্মী কোহিনুর বেগম বলেন, পাশেই একটি গ্রামে আমার সমিতির কাজ করছি। আমি এখনেই চালে আসবো।
উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক জায়নাল আবেদিন জানান, আজ অফিস বন্ধ, চাল বিতরণের সময় অবশ্যই ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকবে। ওজনে কম দেয়া হয়ে থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন, বিষয়টি ফুড অফিসারকে জানাচ্ছি। দেখে আইন গত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।